ষষ্ঠ শ্রেণীর ইতিহাস ও ভূগোল এর প্রশ্নপত্র ও তার উত্তর
০১/সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো !
ক) শিলাদিত্য উপাধি গ্রহণ করেন
উত্তর:-হর্ষবর্ধন
খ) সুয়ান জং এর লেখা গ্রন্থটির নাম।
উত্তর: মহায়ন
গ) আলেকজান্ডারের সেনাপতি কে ছিলেন।
উত্তর:-সেলুকাস
ঘ) চালুক্য রাজ দ্বিতীয় পুলকেসির সভাপতি ছিলেন।
উত্তর:-
০২/এক বাক্যে উত্তর লেখ.
০১। অর্থশাস্ত্রের লেখক কে ছিলেন?
উত্তর:-কৌটিল্য
০২। সাতবাহন বংশের প্রথম শাসক কে ছিলেন।
উত্তর:- সিমুক
০৩। কনিষ্ক কত খ্রিস্টাব্দে শাসক হন?
উত্তর:-৭৮ খ্রিস্টাব্দে
০৪। অটবি মানে কি?
উত্তর:-বন বা অরণ্য
০৩/ দু তিনটি বাক্যে উত্তর দাও
ক)গঙ্গারিডাই কি?
উত্তর:-গঙ্গারিডাই
খ্রিষ্টপূর্ব প্রথম ও দ্বিতীয় শতাব্দীর দিকে প্রাচীন বাংলার একটি জাতি গোষ্ঠী। গ্রিক এবং ল্যাটিন লেখকদের লেখা থেকে এই জাতি সম্পর্কে জানা যায়। বিভিন্ন লেখক এই জাতিকে নানান বানানে উল্লেখ করেছেন। এই নামগুলো হলো গঙ্গারিডে (Gangaridae), 'গঙ্গারিদুম' (Gangariridum) ও 'গঙ্গারাইডেস' (Gangarides)।
খ)কুশান নামে কারা পরিচিত ছিলেন?
উত্তর:-
গ)সঙ্গ দেন দুজন প্রধান শাসক এর নাম কি?
উত্তর:-
০৪/নিচের প্রশ্নের উত্তর দাও
ক) হাতিগুফা সিলালেখো সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ ?
উত্তর:-
ইসলামের ইতিহাস
৫/নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও!
১.ইমরুল কায়েস কে ছিলেন?
উত্তর:-প্রাচীন আরবের একজন বিখ্যাত কবি
২.সেখ কাকে বলে?
উত্তর:-শেখ বা শাইখ একটি সম্মানসূচক পদবি। এটি সাধারণত ধর্মীয় শিক্ষকদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতো। বাংলাদেশ এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মুসলিমদের সাধারণ পদবি হিসেবে ও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
৩.হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন বংশে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর:-মুহাম্মদ বর্তমান সৌদি আরবে অবস্থিত মক্কা নগরীর কুরাইশ গোত্রের বনি হাশিম বংশে জন্মগ্রহণ করেন।
০৬/নিচের প্রশ্নের উত্তর দাও
ক)অজ্ঞতা যুগে ধর্মীয় জীবন কেমন ছিল তা সংক্ষেপে লেখ
উত্তর:-
ভূগোল।
সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো
ক)বিশ্ব অরণ্য দিবস পালিত হয়:--
উত্তর:-২১ মার্চ
খ) সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বায়ুর উষ্ণতা:-
উত্তর:-হ্রাস পায়
B। এক কথায় উত্তর দাও:-
1। কুইনাইন তৈরি হয় কোন গাছ থেকে?
উত্তর:- সিংকনা
2। ভারতের একটি জাতীয় উদ্যানের নাম লেখ:-
উত্তর:-জম্মু-কাশ্মীর
3। ভারতে কোন মাসে বন্যপ্রাণ সপ্তাহ পালন হয় কোন মাসে:-
উত্তর:-অক্টোবর মাসে
C। 2 টি 3 টি বাক্যে উত্তর দাও
1. অভয়ারণ্য বলতে কী বোঝো?
উত্তর:-অভয়ারণ্য (ইংরেজি: Animal sanctuary) হলো এমন বনাঞ্চল, যেখানে বন্যপ্রাণীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয় এবং তাদের প্রজনন ও আবাস নিরাপদ রাখতে শিকারিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
2. লু বলতে কী বোঝো?
উত্তর:-লু বায়ুপ্রবাহ বা লু পশ্চিম থেকে প্রবাহিত একটি শক্তিশালী, ধুলাবালিযুক্ত, গরম এবং শুকনো গ্রীষ্মের বাতাস যা পাকিস্তান এবং উত্তর ভারতের পশ্চিম গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে প্রবাহিত হয়।[১] সাধারণত মে জুন মাসে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি হয়।
3. মরু মৃত্তিকার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ:-
উত্তর:-১) এই মৃত্তিকায় বালি ও নুড়ির পরিমান বেশি থাকে।
২) এই মৃত্তিকা অনুর্বর হয়
৩) এই মৃত্তিকায় লবণের পরিমান বেশি থাকে
৪) মরু মৃত্তিকা জল ধরণের অনুপযোগী
D। তিন চারটি বাক্যে উত্তর দাও
1। যে কোন তিনটি ভেষজ উদ্ভিদের নাম লেখ এবং তাদের উপকারিতা লেখ?
উত্তর:-১. মেন্দা ২.বনধনে ৩. ভাট ফুল বা বনজুঁই
মেন্দা-এই গাছটি বাংলাদেশের অঞ্চলভেদে চাপাইত্তা, কারজুকি, রতন, খারাজুরা নামেও পরিচিতি রয়েছে। গ্রামাঞ্চলে এখনো পেটের পীড়া, রক্ত-আমাশা হলে পাতা বেটে পানিতে মিশিয়ে দুইবেলা খাওয়া হয়। ড. তাহমিনা হক বলছেন, গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা রয়েছে
এই গাছের বাকল ও পাতা উভয়ই ব্যবহার করা হয়। একসময় হাড় ভেঙ্গে গেলে ছালের মিশ্রণ স্থানীয়ভাবে প্লাস্টারিংয়ে ব্যবহার করা হতো। অনেক সময় বুকের ব্যথার জন্য মালিশ করা হয়।
২. বনধনে
পেটের ব্যথা ও ডায়রিয়ার ওষুধে কার্যকর। ঘা-পাঁচড়ার ক্ষেত্রে পাতার মিশ্রণ লাগানো হয়।
2। মাটি চারটে ব্যবহার লেখ
উত্তর:-
E। 5 6 টি বাক্যে উত্তর দাও:-
1. অরণ্য সংরক্ষণের জন্য কি কি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত তা সংক্ষেপে লিখু।
উত্তর:-সারা বিশ্বব্যাপী প্রতিনিয়ত অবিবেচনা প্রসূত প্রচুর পরিমানে বৃক্ষ কাটার ফলে পরিবেশের উপর তার বিরূপ প্রভাব এখন সর্বস্তরের মানুষ বুঝতে পারছে। দিন দিন উষ্ণতার তীব্রতা বেড়ে চলছে, বৃষ্টিপাতের অনিয়ম দেখা যাচ্ছে, গ্রীস্মপ্রধান অঞ্চল গুলিতে শীতের প্রভাব কমছে, মরুভূমির প্রসার ঘটছে এবং সর্বপরি জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে, যা মানুষকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। তাই বর্তমানে মনুষ্য প্রজাতিকে বাচিয়ে রাখার জন্য বৃক্ষচ্ছেদন বন্ধ করে অরণ্য সংরক্ষনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এখানে অরণ্য সংরক্ষনের বিভিন্ন পদ্ধতি গুলি আলোচনা করা হল।
বনসৃ
উন্নয়নমূলক কাজের প্রয়োজনে গাছকাটা হলে সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে গাছ লাগানো দরকার । পতিত জমি বিশেষত যে জমি কৃষকের অনুপযুক্ত সেই জমিতে নতুন করে গাছ রোপন করে বনভূমি গড়ে তোলা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে লাভজনক
অপরিণত বৃক্ষচ্ছেদন রো
অপরিনত গাছ কাঁটার পরিবর্তে পরিনত গাছ কাটা উচিত। অপরিনত গাছ থেকে কম পরিমান কাঠ পাওয়া যায়। ফলে বেশি সংখ্যক গাছ কাটতে হয়, যার জন্য বনভূমি ধংস হয়।ধ।জন
দাবানল প্রতিরোধ
প্রাকৃতিক কারনেই হোক বা মনুষ্যসৃষ্ট কারনেই হোক বনভূমিতে আগুন লেগে দাবানলের সৃষ্টি হলে বনভূমি ধবংশ প্রাপ্ত হয়। দাবানল থেকে বনভূমি রক্ষা করার জন্য বনভূমির শুকনো ডালপালা, পাতা, আগাছা নিয়মিত পরিষ্কার করা ও অরন্যের স্থানে স্থানে সর্তকতা ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার।
পশুপালন নিষিদ্ধকরন
বনভূমিতে পশুচারন করলে ঘাস এবং বনভূমির গাছ নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে বনসৃজনের প্রচেষ্ঠা সম্পূর্ন ব্যর্থ হয়। তাই বনসংরক্ষনের জন্য বনভূমিতে পশুচারন বন্ধ করতে হবে।
রোগ নিবারন
বিষাক্ত পোকামাকড় ও কীটপতঙ্গের আক্রমনে রোগাক্রান্ত হয়ে গাছপালা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তাঁর কীটনাশক ও প্রতিরোধক ঔষধ ব্যবহার করা প্রয়োজন।
আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার
বনভূমি থেকে কাষ্ঠ আহরন করার সময় আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে গাছকাটা উচিত যাতে করে পাশাপাশি কোনো গাছের ক্ষতি না হয়।
বিকল্প জ্বালানীর ব্যবহার
অনুন্নত ও দরিদ্র দেশগুলিতে মানুষ বনভূমি থেকে কাঠ সংগ্রহ করে জ্বালানীরূপে ব্যবহার করে। এই সব দেশের অধিবাসীদের যদি সস্তা দামে কোনো বিকল্প জ্বালানীর সন্ধান দেওয়া যায় তবে বনভূমি থেকে কাঠ আহরনের পইমান কম হবে এবং বনভূমি রক্ষিত হবে।
আইন প্রনয়ন
সরকার নতুন নতুন আইন প্রনয়ন করে ও নির্বিকারে গাছকাটা রোধ করতে পারে । বস্তুত মানুষের সীমাহীন লোভের থাবা থেকে বনভূমিকে রক্ষা করতে অপরাধীদের দ্রুত ও নির্মম শাস্তি প্রদান করা প্রয়োজন।
কাঠের বিকল্প বা পরিবর্ত দ্রব্যের ব্যবহার
পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে কাঠের চাহিদা ও ক্রমবর্ধমান। সুতরাং কাঠের চাহিদা কমাতে প্লাস্টিক, কাগজ, অ্যালুমিনিয়াম, ইস্পাত, কাচ প্রভৃতি বিকল্প দ্রব্যের ব্যবহার আরও বেশি করতে হবে। এভাবে বনভূমি বনভূমি সংরক্ষন করা যায়।
বনরক্ষক নিয়োগ
বনভূমি এবং বনজ সম্পদ যথাযথ ভাবে সংরক্ষিত হচ্ছে কিনা তাঁর তদারকি করার জন্য ও লক্ষ্য রাখার জন্য উপযুক্ত তত্ত্বাবধায়ক এবং বনরক্ষক নিয়োগ করা প্রয়োজন।
2. মাটি সংরক্ষণের জন্য কি কি ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
উত্তর:-মৃত্তিকা সংরক্ষণের পদ্ধতিসমূহ
মৃত্তিকা সংরক্ষণের জন্য যেসমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, সেগুলিকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। নীচে ছকের মাধ্যমে মৃত্তিকা সংরক্ষণের পদ্ধতিসমূহ দেখানাে
(১) কৃষিজ পদ্ধ
ফসল পুনরাবর্তন : শস্যাবর্তন, আন্তঃকৃষি এবং নানা ধরনের শস্য একই জমিতে চাষের মাধ্যমে মৃত্তিকা ক্ষয় রােধ করা যায়। কারণ এতে কোনও সময়ই জমি উন্মুক্ত থাকে না এবং মৃত্তিকার দৃঢ়তাও বৃদ্ধি পায়। এই জন্য ভারতে বর্ষাকালে একই জমিতে ভুট্টা, মােটর, ছােলা ইত্যাদি শস্যের চাষ
জৈব পদার্থের সংরক্ষণ : মৃত্তিকায় জৈব পদার্থের পরিমাণের হ্রাস রােধ করার জন্য শস্যাবর্তন করা হয়। এই ব্যবস্থা একদিকে মৃত্তিকার উর্বরতা বৃদ্ধি করে এবং অন্যদিকে জৈব পদার্থের পরিমাণের বৃদ্ধি ঘটায়। এ ছাড়া, শস্য পেকে যাওয়ার পর গাছের অবশিষ্টাংশ কৃষিক্ষেত্রে রেখে দেওয়া হয়। পাতা, মূল ইত্যাদিও জমিতে ফেলে রাখা হয়। এগুলি মৃত্তিকাকে ঢেকে রেখে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা ক
শস্য নির্বাচন : মৃত্তিকা ক্ষয় রােধের জন্য এমন ধরনের শস্য নির্বাচন করা উচিত যেগুলি সর্বাধিক পরিমাণ ভূপৃষ্ঠ আচ্ছাদিত করে রাখতে পারে এবং মৃত্তিকা কণাগুলিকে দৃঢ়ভাবে সংঘবদ্ধ করতে পা
সমােন্নতি রেখা বরাবর কৃষিকাজ বা ফালি চাষ : পাহাড়ের সুদীর্ঘ লম্বা ঢালে চাদর ক্ষয় ও নালিক্ষয় বেশি হয়। ঢালের আড়াআড়ি বহু সরু সরু ফালি তৈরি করে কার্যকরী ঢালের দৈর্ঘ্য কমিয়ে দিলে ওই দুই প্রকার ক্ষয়ের তীব্রতা হ্রাস পায়। এ ছাড়া প্রত্যেকটা ফালিতে খাদ্যশস্য ও মধ্যবর্তী ঢালু জমিতে খড় বা ঘাস জাতীয় শস্য পর্যায়ক্রমে চাষ করলে জলপ্রবাহ বেশি গতি লাভ করতে পারে না। কারণ দুটি কর্ষিত ফালির মধ্যবর্তী ঘাস জলের প্রবাহকে থামিয়ে দেয়। এভাবে ফালি চাষের দ্বারা মাটির ক্ষয় রােধ করা যায়। যখন সমােন্নতিরেখার সমান্তরালে না করে আড়াআড়ি ফালি তৈরি করা হয় তখন সেই ব্যবস্থাকে সমােন্নতিরেখা ফালি-চাষ ব
ধাপ গঠন : ঢালু জমিতে বিভিন্ন প্রকার ধাপ গঠন করলে ঢালের গ্রেডিয়েন্ট বা কৌণিক মান ও কার্যকরী দৈর্ঘ্য হ্রাস পায়। বেঞ ধাপ (Bench Terrace) তৈরি করা হয় যেখানে জলের প্রবাহকে প্রায় পুরােপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। জমিতে বড়াে বড়াে যন্ত্রের ব্যবহার ও পুরাে জমি চাষের জন্য কাজে লাগাতে কৃষকেরা সাধারণত প্রশস্ত ভিতের ধাপ (Broad-based Terrace) গঠন করে। এ ধরনের ধাপযুক্ত জমিকে সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করলে মাটি প্রায় ক্ষয়ই হয় না।লে।রে।রে।হয়।তি :হল一
0 Comments