প্রথম ভালোবাসা
প্রেম ভালোবাসা সব মানুষের জীবনে একবার না একবার আসে তাই আমি আপনাদের সামনে আজ ভালোবাসার একটা গল্প আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।
আজ রাজেশ দ্বাদশ শ্রেণী পাস করে কলেজে ভর্তির প্রস্ততি নিল। সব বন্ধু মিলে admission নিল তার কয়েকদিন পর লিস্ট বেরোলো ।সব বন্ধুর নাম চলে এসেছিল তাই সবাই খুব খুশি ছিলো।
রাজেশ ছিলো একটু লাজুক টাইপের ছেলে তাই তার লাইফ সিঙ্গেল ই ছিলো এবং ভালোবাসার দিকে তার গুরুত্ব কম ছিল বলেই চলে।
তারপর সবাই কলেজে গেলো ভর্তি হলো ।কিন্তু রাজেশ স্কুল এ কোন দিন এত মেয়ে দেখেনি তাই সে অবাক ।
রাজেশ ছিলো খুব সুন্দর দেখতে একটা ছেলে । তার বন্ধুরা তখন মেয়ের খোঁজে ব্যাস্ত রাজেশ ও তাদের সাথে গেলো ।
তাও রাজেশের কোন কিছু মনে হলো না।এইভাবে রাজেশ কলেজ যেত আর আসতো।তার বন্ধু রা তখন মেয়ে পটিয়ে ফেলেছে।
একদিন রাজেশ কলেজ টা ঘুরে দেখছিল তখন রাজেশ সব কিছু ঘোড়ার পর যখন ক্লাস এর দিকে ফিরছিল তখন দেখে কয়েকটা ছেলে একটা মেয়ে কে ঘিরে আছে এবং তার সাথে খারাপ ব্যাবহার করছে।
সে দেখে তাদের কাছে গেলো এবং বললো তারা কেনো তার সাথে এমন করছে ।তখন সেই ছেলেরা তাকে বলতে থাকে তুর কি হচ্ছে বে ।
তখন রাজেশ বলে এটা তোমাদের কোন মা,বোনদের এই রকম করা হয় তাহলে কেমন লাগবে তখন তারা এই কথা শুনে একটু লজ্জা বোধ করে মুখ নামিয়ে চলে যায়।
তখন সেই মেয়েটা তাকে ধন্যবাদ যায় এবং তার নাম জিজ্ঞেস করে তার উত্তরে রাজেশ বলে ।রাজেশ ও তার নাম জিজ্ঞেস করে সে বলে তার নাম আসমা। আসমা কে দেখে রাজেশ এর খুব ভালো লাগলো তাকে তার পছন্দ হয়ে গেলো। সে মনে মনে অবাক হলো যে আমি জীবনে কোনো দিন মেয়ের দিকে ভালো ভাবে তাকায় নি। তাহলে আমার আজ কি হলো যে আমার ওকে আমার ভালোলাগছে।
রাজেশের সারা রাত ঘুম হলো না শুধু ওর কথা মনে পড়তে লাগলো ।
রাজেশ ভাবতে থাকলো কখন ওর সাথে আবার দেখা হবে ।সকাল হলো রাজেশ কলেজ যাওয়ার জন্য প্রস্তুত সবাই মিলে কলেজ গেলো রাজেশের দেখা হলো আসমার সাথে । আজ আসমা কে খুব সুন্দর দেখতে লাগছিল ।
রাজেশ তার দিকে তাকিয়ে রইল।
আমারও সেই দিন থেকে রাজেশ কে ভালো লেগেছিলো কিন্তু এত তাড়াতাড়ি বলা সম্ভব ছিলো না তাই।
তার পর তাদের মধ্যে বন্ধুর মত সম্পর্ক হয় তারা দুজন একসাথেই থাকতো অনেক দিন হয়ে গেল কেউ কাউকে বলতে পারেনা । সেই দিন ছিল শিক্ষক দিবস রাজেশ ভাবলো আজ সে বলবে। রাজেশ প্রস্তুত হয়ে গেলো ।
রাজেশ তার দেখা পেল এবং তার কাছে গেলো তার কাছে যেতে না যেতেই আর একটা ছেলে তার কাছে হাজির হলো এবং একটা গোলাপ ফুল দিয়ে প্রপোজ করলো। আসমা ফুলটা নিল ।রাজেশ সেই দেখে অবাক হয়ে গেলো।
সেই দেখে রাজেশ খুব দুঃখী হয়ে সেখান থেকে চলে গেলো ।
(আসল কারণ টা ছিল এই যে আসমা রাজেশ কে ভালোবাসতো এবং রাজেশ আসমা কে ভালোবাসতো এটা প্রায় সবাই জানতো শুধু বলার দেরি ছিল)
কিন্তু আসমা কে আর একটা ছেলে ভালোবাসত সে আসমা কে প্রপোজ ও করে ছিলো কিন্তু আসমা না বলে দেই এবং আসমা বলে আমি রাজেশ কে ভালোবাসি কিন্তু সেই ছেলে টা তাকে ভয় দেখায় তার সাথে খারাপ ব্যাবহার করে আর বলে যে রাজেশ এর সামনে আমি তোকে প্রপোজ করবো আর তুই accept করবি তাই আসমা ভয়ে সেই ফুল নেই তার জন্য রাজেশ ভুল বুঝে)
রাজেশ তখন তারা তারি সেই College থেকে বাড়ির দিকে রওনা দেই কিন্তু আসমা তাকে পিছন দিকে ডাকে এবং রাজেশ তাকিয়ে দেখে কে তখন দেখে আসমা। আসমা তাকে জিজ্ঞাসা করে সে বাড়ি কেনো যাচ্ছ তখন রাজেশ বলে শরীর খারাপ করছে তাই চলে যাচ্ছে।
এর পর কয়েকদিন কেটে গেলো রাজেশ আর কলেজে আসে না ।আসমা রাজেশের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে প্রত্যেক দিন কিন্তু রাজেশ আসে না তার বন্ধুদের কাছে যাই আসমা এবং জিজ্ঞেস করে ।তখন একজন বন্ধু তাকে বলে ধোঁকা দিয়েই কি শান্তি নেই ।সে কথা শুনে আসমা তাদের সব কথা খুলে বললো
তার বন্ধু রা সেই কথা শুনে অবাক হয়ে গেলো ।
এবং বললো কোন ছেলেটা সেই ছেলে তাকে দেখলো আসমা ।এবং বন্ধু মিলে তার কেছে গেলো এবং তাকে বলল সে এইরকম কেন করেছে সেও তার দলবল নিয়ে হাজির ছিলেন এবং তাদের মধ্যে একটু ঝামেলা সৃষ্টি হয় এবং রাজেশের বন্ধুরা তাদের সাথে মারামারি করে জিতে যায় এবং তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায় ইতিমধ্যে রাজেশ এর প্রচুর অসুখে পড়ে যায় এবং থকে
হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এ কথা তার বন্ধুরা জানতে পারে এবং আসমা কে জানাই তাড়াতাড়ি আসমা সেই থানে পৌঁছায় এবং রাজেশ এর সাথে দেখা করে রাজেশ তার সাথে দেখা করতে চাইছিল না এমন সময় তার বন্ধুরা সব কথা খুলে বলে । অ্যালবাম এবং সেসব কথা শুনেই রাজেশ নিজের ভুল বুঝতে পারি তারপরে আসমা তাকে জড়িয়ে ধরে বলে আমি শুধু তোমাকে ভালবাসি।
0 Comments